সিদ্ধান্ত আপনার
আজকে বলবো গুরুত্বপূর্ণ কিছু কথা গ্রুপ বেছে নেয়া, কোর্স বেছে নেয়া যা SSC পরবর্তী ভর্তিতে সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে সাহায্য করবে।
#শুরুটা মাধ্যমিক থেকেই:
ক্যারিয়ার প্ল্যানিং শুরু করা উচিত মাধ্যমিক বা তার আগে থেকেই। তখন থেকে ভাবা করা উচিত কোন ফিল্ডের ডিমান্ড ৪-৫ বছর পর অনেক ভাল থাকবে। সে ফিল্ডে যে কাজ করতে হবে, সেসব কাজে আগ্রহ আছে কিনা, কাজগুলো পছন্দ কি না। তারপর ভাবতে হবে সে কাজ করার জন্য প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষাতেও কিছু শেখানো হচ্ছে কি না। সে কাজ করতে হলে কী কী শেখা দরকার তা শিখতে হবে।তবে সবচেয়ে বড় বিষয় হলো পছন্দ। অর্থাত যে বিষয়গুলো বা কাজগুলো বা যে লাইনের পড়ালেখা আপনার ভালো লাগে সেদিকেই যেতে হবে। কারো কথা শুনে বা চাপিয়ে দেয়া পথে গেলে আপনারও মানসিক শান্তি আসবে না এবং ভবিষ্যতে ভালো কিছু করাও মুশকিল হয়ে যাবে।
আসুন এখন দেখা যাক
#এসএসসির পর কোনদিকে কি কি আছে।
.
(১) এইচএসসি
(২) ডিপ্লোমা ইন-ইঞ্জিনিয়ারিং
(৩) নাসিং ও প্যারামেডিক্যাল ডিপ্লোমা
.
#এইচএসসিঃ✍️
এসএসসি পাস করার পর একজন শিক্ষাথী,আর ক্যারিয়ার প্রতিষ্ঠার জন্য ভালো কলেজে ভর্তি হতে চায় । বিসিএস ক্যাডার হতে হলে এই ধাপ দিয়ে যেতে হবে। সকল বিসিএস ক্যাডার কিন্তু এই এইচএসসি শেষ করে, গ্রাজুয়েশন সম্পন্ন করে, তারপর বিসিএস এ অংশগ্রহন করে। এইচএসসি ২ বছরের ।এই এইচএসসিতে বাংলাদেশের 95% ছাত্রছাত্রীরা ভর্তি হয়ে থাকে।
—>এটা করার পর যা যা করতে পারবে-ঃ
(ক) যে কোন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি সুযোগ পাবে ।,বিসিএস ক্যাডার হতে হলে এই ধাপ পার করতে হবে,তারপর গ্রাজুয়েশন সম্পন্ন করে বিসিএস ক্যাডার হতে পারবে।।।
(খ) অনার্স ও ডিগ্রী করতে হলে এইচএসসি পাস করতে হবে অবশ্যই।
(গ) বিএসসি ইন নাসিং করতে পারবেন।
(ঘ) সরকারী 95% চাকরির জন্য আবেদন করা যায়।
(ঙ) ঢাকা ইউনিভসিটি অধীনে ৭ কলেজ ভর্তির সুযোগ পাবে। এইগুলো ছাড়া আরো অনেক কিছু আছে।
##এইচএসসি তে গ্রুপ চেন্জঃ
অনেকে বলেছেন যে,ভাইয়া আমি এসএসসিতে বিজ্ঞান বিভাগ ছিলাম,এখন আমি আটর্স নিতে চাচ্ছি। এখন কি করবো ??
প্রথমে বলে রাখি ,আগে তোমার স্বপ্ন ঠিক করে নেও। ক্যারিয়ার গড়তে হলে সপ্ন দেখতে হবে তুমি কি হতে চাও তার উপর নির্ভর করবে। আবার এইচএসসিতে বিজ্ঞান পড়তে হলে প্রাইভেট পড়তে হয়। এখন তুমি কি প্রাইভেট করতে পারবে কি না?। যদি পরিবারের আর্থিক অবস্থা খারাপ হয় তাহলে আটর্স নেও। এখন কথা হচ্ছে তুমি যে বিষয়ে ভালো রেজাল্ট করতে পারবে সেই গ্রুপ নিবে। আমার কথা তুমি যে দিকে ভালো পারবে সে দিকে অগ্রসর হবে। বিজ্ঞানের গুরুত্ব সবসময় বেশী। সকল জাগায় বিজ্ঞান বিভাগদের অগ্রাধিকার দিয়ে থাকে।তারপরও তোমার পছন্দই মূল।
*************
.
.
#ডিপ্লোমা ইন-ইঞ্জিনিয়ারিংঃ✍️
সাধারণ লাইন:-
এ শিক্ষার ক্ষেত্রে এসএসসি পাস করে একজন শিক্ষার্থী ০২ বছরের এইচএসসি ও ০৪ বছরের অনার্স কোর্স পাস করে মোট ০৬ বছর পড়া শেষ করে চাকরির বাজারে প্রবেশের জন্য প্রস্তুতি নেন।
অন্যদিকে #কারিগরি শিক্ষার ক্ষেত্রে এসএসসি পাসকৃত একজন শিক্ষার্থী সরাসরি ০৪ বছর মেয়াদি ডিপ্লোমা ইন ইঞ্জিনিয়ারিং শিক্ষা গ্রহণ করে সাধারণ শিক্ষার্থীর তুলনায় ০২ বছর আগেই উপসহকারী প্রকৌশলী হিসেবে চাকরির বাজারে প্রবেশ করতে পারেন। কারিগরি কোর্সের শিক্ষার্থীরা হাতে-কলমে প্রশিক্ষিত হওয়ার পাশাপাশি ইন্ডাস্ট্রিয়াল অ্যাটাচমেন্টের মাধ্যমে সরাসরি বিভিন্ন ইন্ডাস্ট্রিতে কর্মসংস্থানের ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার পেয়ে থাকেন।
বর্তমান বিশ্বে দক্ষ ও যোগ্য হয়ে উঠার জন্য প্রয়োজন সঠিক সময়ে সঠিক সিদ্ধান্ত। ক্যারিয়ার গঠনের জন্য কর্মমুখী শিক্ষা নেয়াটা বর্তমানে খুবই নির্ভরযোগ্য সিদ্ধান্ত। তথ্য প্রযুক্তির এ যুগে অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য কর্মমুখী শিক্ষার কর্ম পরিধি ব্যাপক ও বিস্তৃত। তাই কর্মমুখী শিক্ষা নিয়ে ক্যারিয়ার গড়তে চেয়ে এসএসসির পরে ভর্তি হতে পারেন ০৪ বছর মেয়াদি ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে।
যে বিষয়ে পড়তে পারেন : কারিগরি শিক্ষা বোর্ডে অধীনে সেমিস্টার ভিত্তিতে বিভিন্ন বিষয়ের ওপর পড়ানো হয়। উল্লেখযোগ্য বিষয়গুলো হচ্ছে- সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং, ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং, ইলেকট্রুনিক্স ইঞ্জিনিয়ারিং, কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ারিং, আর্কিটেকচার ইঞ্জিনিয়ারিং, মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং, কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং, অটোমোবাইল ইঞ্জিনিয়ারিং, ফুড ইঞ্জিনিয়ারিং, এনভায়রনমেন্ট ইঞ্জিনিয়ারিং, রিফ্রিজারেশন অ্যান্ড এয়ার কন্ডিশনিং ইঞ্জিনিয়ারিং, ইন্সট্রুমেন্টশন অ্যান্ড প্রসেস কন্ট্রোল ইঞ্জিনিয়ারিং, টেলিকমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ারিং। এ বিষয়গুলোতে পড়ালেখা করে বসে থাকার সম্ভাবনা খুবই কম।
# ভর্তির যোগ্যতা : কারিগরি শিক্ষা বোর্ডে অধীনে ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং এ পড়তে চেয়ে এসএসসি, দাখিল বা সমমানের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে হবে। সরকারি পলিটেকনিক ইন্সটিটিউটে ভর্তি জন্য আবেদন করতে চাইলে গণিত বা উচ্চতর গণিত বিষয়ে জিপিএ ৩.০০সহ কমপক্ষে জিপিএ ৩.৫০ পেয়ে উত্তীর্ণ হতে হবে। এছাড়া বেসরকারি পলিটেকনিক ইন্সটিটিউটে ভর্তির জন্য গণিতে জিপিএ ২.০০ পেলেই চলবে।
ডিপ্লোমা কোর্সে ভর্তি যুগোপযোগী সিদ্ধান্ত। কেননা, বর্তমান যুগে কারিগরি শিক্ষার পরিধি দিন দিন বাড়ছে। বাড়ছে কর্মক্ষেত্রের পরিধিও। বিশেষত ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং কোর্সটি শিক্ষার্থীদের জন্যে আশীর্বাদস্বরূপ বলতে হয়। কেননা, এ কোর্সে পড়াশোনা করে বেকার থাকার সম্ভাবনা খুব কম। তাই এসএসসির পর চাইলে কোনো শিক্ষার্থী ডিপ্লোমা ইন ইঞ্জিনিয়ারিং কোর্সে পছন্দমতো বিষয়ে ভর্তি হতে পারে। এ কোর্সটি চার বছরমেয়াদী। একজন শিক্ষার্থী চারবছর পর ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং শেষ করে চাকুরিতে ঢুকতে পারে ও বিএসসি করতে পারে এবং সহজে উচ্চ শিক্ষাগ্রহণ করার সুযোগ রয়েছে।
************
#নাসিং ও প্যারামেডিক্যাল ডিপ্লোমাঃ✍️
মেয়েদের জন্য ভালো!
পেশা হচ্ছে নার্সিং। দেশে এখন প্রায় সব জেলা-উপজেলা শহরগুলোতেই সরকারি বেসরকারি হাসপাতাল বা ক্লিনিক গড়ে উঠেছে। ক্রমেই বেড়ে চলছে এসব হাসপাতালের সংখ্যা। তাই এসব প্রতিষ্ঠানে প্রতিবছরই নার্সের প্রয়োজন হয়। সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোতে নার্স নিয়োগ করে বাংলাদেশ সরকারের সেবা পরিদপ্তর।
সেবামূলক পেশা হচ্ছে নার্সিং। যেখানে কাজ করে একদিকে যেমন মানুষের সেবা করা যায়, তেমনি এই পেশাতে উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ গড়াও যায় খুব সহজে। দেশে এখন প্রায় সব জেলা-উপজেলা শহরেই সরকারি-বেসরকারি হাসপাতাল বা ক্লিনিক গড়ে উঠেছে। ক্রমেই বেড়ে চলছে এসব হাসপাতালের সংখ্যা। তাই এসব প্রতিষ্ঠানে প্রতিবছরই নার্সের প্রয়োজন হয়। চাইলে এ পেশায় আসতে পারেন আপনিও। এ পেশায় আসতে হলে এর ওপর ডিপ্লোমা–ইন–নার্সিং সায়েন্স অ্যান্ড মিডওয়াইফারি কোর্সটি করতে হবে। যাঁরা এ পেশায় আসতে চান, তাঁদের জন্য সুযোগ করে দিয়েছে নার্সিং ও মিডওয়াইফ অধিদপ্তর। প্রতিষ্ঠানটি ২০১৯-২০২০ শিক্ষাবর্ষে তিন বছর মেয়াদি ডিপ্লোমা–ইন–নার্সিং সায়েন্স অ্যান্ড মিডওয়াইফারি কোর্সে ভর্তি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করবে। দেশের মোট ৪৩টি সরকারি নার্সিং ইনস্টিটিউটে ২ হাজার ৫৮০টি আসনে ছাত্র-ছাত্রী ভর্তি করাবে।তাই এ কোর্সটি করে আপনিও এই সেবামূলক কাজে নিজেকে নিয়োজিত করতে পারেন।”college admission tips” পেজে আরও বিস্তারিত পাবেন পরবর্তীতে।
.
জানিনা তোমাদের কতটুকু বুঝাইতে পেরেছি। তাই এই লিখাটা কেমন হয়েছে তা কমেন্ট করে বলে যাও।
আর পরিশেষে বলা যায় যে, সঠিক সময়ে সঠিক সিদ্ধান্ত নিবে।
তোমাদের ভর্তির বিষয়ে সকল প্রকার সাহায্য আমাদের কাছে পাবে।
আমাদরে সাথে থাকার জন্য ধণ্যবাদ। এই পোষ্টটি তোমাদের সকল বন্ধুদের মেনশন করে জানিয়ে দাও।
তোমাদের কিছু জানার থাকলে কমেন্ট এ বলতে পারো।
ধন্যবাদ।
পোষ্টটি নেয়া হয়েছে: college admission tips” পেজে আরও বিস্তারিত পাবেন পরবর্তীতে। Join Korte পারেন
Onek upokar korlen vai… R vai diploma Engineering e porar sese jekono govment job ki sohoje pawa possible…
Pawa jay. But general editorsgheke Post kom howay compition besi.. Ami nijew 3 ta written a tike viva te bad porci…
Vai;diploma shesh kore monthly sallary koto hote pare???
Apni jodi akbre fresh hon. Tahole starting salary 10-12 hajar.. R jodi experience thake tahole nirdisto kono salay nei. Amader factory te diploma kora dgm sir. Salary pry 2 lack
Thank you for the auspicious writeup. It in reality was once a entertainment account it.
Glance advanced to more delivered agreeable from you! By the way, how
can we keep up a correspondence? I saw similar here: Sklep internetowy
Wow, incredible weblog structure! How lengthy have
you ever been blogging for? you make running a blog look easy.
The total look of your website is great, as well as the content material!
You can see similar here sklep internetowy
It’s very interesting! If you need help, look here: ARA Agency
Hi! Do you know if they make any plugins to help with Search Engine Optimization? I’m
trying to get my blog to rank for some targeted keywords
but I’m not seeing very good success. If you know of
any please share. Many thanks! You can read similar text here: Dobry sklep